বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে পিপলস লিবারেশন আর্মি অব চায়না কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী চীন থেকে বুধবার দেশে আনা হয়েছে। চীন হতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহায়ক দ্রব্যাদি সংগ্রহের নিমিত্তে ঐদিন সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ জন এয়ার ক্রু একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান নিয়ে চীনের উদ্দেশে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু, ঢাকা ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শান্তনু চৌধুরী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মিশন সুসম্পন্ন করার জন্য বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নীতিমালা অনুসরন করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনানুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক ‘In Aid to Civil Power’ এর আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে ডিসপোজেবল মেডিক্যাল মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, মেডিকেল সার্জিক্যাল মাস্ক (কেএন৯৫), মেডিক্যাল প্রটেক্টিভ গগলস, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল প্রটেক্টিভ ফেস শিল্ড, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল প্রটেক্টিভ স্যূট, ডিসপোজেবল মেডিকেল আইসোলেশন গাউন, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল বুট কভার, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল গ্লাভস, ইনফিউশন পাম্প, ব্যাকপ্যাক ডিসইনফ্যাকট্যান্ট স্প্রেয়ার, হ্যান্ড-হেল্ড আইআর থার্মোমিটার এবং থার্মাল ইমেজিং টেম্পারেচার পরিমাপক হেলমেট সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী চীন থেকে দেশে এনেছে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গণচীন সরকারের প্রসংশনীয় উদ্যোগ এবং বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব রোধে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অকৃত্রিম সহায়তার জন্য চীন সরকার বন্ধুত্বের এক অপূর্ব নিদর্শন স্থাপন করেছে। এর ফলে চীনের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সনাক্তকারী কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সহ চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী চীন থেকে দেশে আনা হয়েছিল।