জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা মহামারীতে রূপ নিয়েছে। এটা করোনার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গণমাধ্যমকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যম’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিমকোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন।
আলোচনায় অংশ নেন বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সড়ক নিরাপত্তা শাখা) মো. জহিরুল ইসলাম, নিমকোর উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মারুফ নাওয়াজ, উপপরিচালক সুমনা পারভীন ও সহকারী পরিচালক তানজিম তামান্না, এসসিআরএফের সভাপতি আশীষ কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
কর্মশালায় সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশনের গতিধারা, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনা সংক্রান্ত পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপন করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবীণ সাংবাদিক ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই সমন্বিত সড়ক ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যমান সড়ক আইনের যথাযথ প্রয়োগে গণমাধ্যমকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’ বিভিন্ন ধরনের সড়কযানের চালক ও সহকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং যাত্রী ও পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সুফী জাকির হোসেন বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে গণপরিবহনখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নিমকো ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে।’
সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে উপসচিব জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন।’
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের সড়কে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সড়কে দুর্ঘটনাও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সচেতনতার পাশাপাশি আইন না মানার প্রবণতা এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। যারাই সড়কে নামবেন, চালক হোক আর পথচারী বা যাত্রী; তাকে অবশ্যই আইন পালনে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন।