করোনাভাইরাস ইস্যুতে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুমো। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের গভর্নর জানান, করোনা ইস্যুতে পরিস্থিতির অবনতি হলে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এদিন নিউইয়র্কে করোনার পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরো জানান, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ থেকে বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনই নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা। এছাড়াও সব মিলিয়ে ওয়েস্টার্ন কাউন্টিতে ৫৭ জন, নাসাউ কাউন্টিতে ৪ জন, রকল্যান্ড কাউন্টিতে ২ জন ও সারাতোগা কাউন্টিতে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন।
এ সময় করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সতর্কতা হিসেবে নিউইয়র্কের সব স্কুল বন্ধেরও ঘোষণা দেন এন্ড্রু কুমো। আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
করোনার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেন অবৈধ মেডিক্যাল উপকরণ বিক্রি করা না হয় এবং বৈধ পণ্যগুলো যেন বেশি দামে বিক্রি করা না হয় সে বিষয়েও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন গভর্নর কুমো।
এদিকে ইসরাইলের ১,২৬২ জন সেনাকে কোয়ারান্টাইনে (পৃথকীকরণ) রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে তাদেরকে পৃথক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই সেনাদেরকে চাকরির ডিউটিতে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
সারা বিশ্বে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এই ১২শ’ সেনার ব্যাপারে এমন ব্যবস্থা নেয়া হলো।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব সেনাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদেরকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। এসব সেনার বেশিরভাগই ছুটিতে অধিকৃত ভূখণ্ডের বাইরে ছিল।
এর আগে ইসরাইলের ১৮৯ সেনাকে ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছিল।
ইসরাইলের ২১ সেনার দেহে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের নাগরিকদের ইসরাইলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।