করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় কৃষক পর্যায়ে সুদহার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১ এপ্রিল থেকে শস্য ও ফসল খাতে বিতরণ করা ঋণের গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শতাংশ। বিদ্যমান ও নতুন ঋণের ক্ষেত্রে এ সুদহার কার্যকর হবে। যদিও ব্যাংকগুলো সুদ পাবে ৯ শতাংশ। তবে বাকি ৫ শতাংশ ভর্তুকি হিসেবে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে এর আগে গত ১৩ এপ্রিল শস্য ও ফসল খাত ব্যতীত কৃষির অন্যান্য খাত তথা মৌসুম ভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রানিসম্পদ খাতে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত ওই তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো মাত্র ১ শতাংশ সুদে অর্থ পাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণ স্থিতি রয়েছে ৪০ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর কৃষিতে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ শস্য ও ফসল খাতে বিতরণ করার কথা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমদানি বিকল্প ফসলসমূহের পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লেখিত ধান, গমসহ সব দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাক-সবজি ও কন্দাল ফসল চাষের জন্য সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হলো। বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ হারে সুদক্ষতি পুনর্ভরণ সুবিধা পাবে। ইতিমধ্যে বিতরণ করা ঋণের মধ্যে শুধুমাত্র এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিক থেকে আদায়কৃত বা সমন্বয় করা ঋণের বিপরীতে বকেয়া ঋণ স্থিতির ওপর ব্যাংকগুলো চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট ঋণের বিদ্যমান সুদহার ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।