মৃত্যুশয্যায়ও বারবার ছেলে-মেয়েদের খোঁজ করছিলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। জানতে চেয়েছিলেন ছেলে-মেয়েদের অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে পৌঁছাতে কতদিন সময় লাগবে? ছেলে-মেয়েরাও বাবাকে দেখতে ছিলেন উদগ্রীব। কিন্তু করোনার কারণে সঠিক সময়ে বাবার কাছে আসা হয়নি তাদের। তাই শেষ দেখাটা আর হলো না! ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান এন্ড্রু কিশোর। এদিকে বাবার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে গতকাল দেশে এসে পৌঁছেছেন এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে এন্ড্রু সঙ্গা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য ও সংগীতশিল্পী মোমিন বিশ্বাস।
তিনি জানান, সোমবার সকালে সঙ্গা রাজশাহী শহরে এসে পৌঁছেছেন। অস্ট্রেলিয়ায়ই বাবা এন্ড্রু কিশোরের একটি ছবি বাঁধাই করেছিলেন তিনি। বাবার ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে দেশে ফিরেছেন এন্ড্রু সঙ্গা।
এছাড়া নিজেই ডিজাইন করে এনেছেন বাবার শেষ আয়োজনের ব্যানার।
এদিকে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশে এসেছেন এন্ড্রু কিশোরের ছেলে সপ্তক। রাজশাহীতে এসেই ছুটে যান হাসপাতালে। কফিনে মোড়ানো বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধার জন্য এন্ড্রু কিশোরকে নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। আগামীকাল ১৫ই জুলাই হবে এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য। এদিন সকালে প্রথমেই রাজশাহী শহরের স্থানীয় চার্চে নেওয়া হবে শিল্পীর মরদেহ। এরপর তাকে নিয়ে আসা হবে রাজশাহীর কালেক্টরেট মাঠের পাশে খ্রিষ্টানদের কবরস্থানে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হবেন প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর।