চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এর আগেই ফল জানা যাবে। সকাল ১১টা থেকেই এসএসসি পরীক্ষার ফল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে জানা যাবে। এছাড়া এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd/-এ Result কর্নারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে রেজাল্টের শিট ডাউনলোড করা যাবে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য SSC Board name (প্রথম তিন অক্ষর) Roll Year টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024 Send to 16222।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনলাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআএনের মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।