এশিয়ায় ব্যাপক সংকট তৈরি করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেঙ্ক। রবিবার (২৪ নভেম্বর) রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান ইস্যুতে মস্কো চীনকেই সহযোগিতা করবে। খবর রয়টার্স
বার্তা সংস্থা তাসকে রুদেঙ্গ বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি এক চীনা নীতিতে হস্তক্ষেপ করছে ওয়াশিংটন। এজন্য তারা তাইপের সঙ্গে সামরিক এবং রাজনেতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করেছে এবং অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে। তাইওয়ান ইস্যুতে পিআরসিকে (পিপিল’স রিপাবলিক অব চায়না) উষ্কে দিয়ে এশিয়াতে সংকট তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে নেমেছে। তবে প্রতিবেদনে রুদেঙ্কর পক্ষের নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত তাইওয়ানকে সব সময়ই চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে তাইওয়ান সরকার বরাবরই এই দাবি অস্বীকার করে আসছে। এ অবস্থায় কূটনৈতিক তৎপরতা না থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পরিসরে তাইওয়ানের একজন বড় সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।
রাশিয়া উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুদেঙ্গ’র এমন মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
গত সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানকে ৫৬৭ মিলিয়ন ডলারে সামরিক সহায়তার অনুমোদন দেন। যার সমালোচনা করে রাশিয়া। কারণ এশিয়ার ইস্যুতে মস্কো চীনের পাশে রয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন রাশিয়া ইউক্রেনে পুরোদমে অভিযান শুরু করে তখন চীন সফর করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময়ে দুই দেশ জানায়, তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।