সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বা করোনাভাইরাস, যা কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসটি সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। ভিয়েতনামেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে গবেষণা করে যাচ্ছে ভিয়েতনামের গবেষকরা।
ভিয়েতনামের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড এপিডেমিওলজি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস দুটি পৃথক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। এশিয়ার করোনাভাইরাস ইউরোপ থেকে আলাদা। ইনস্টিটিউটটির উপ-পরিচালক প্রফেসর লি থাই কুয়ান মাই বলেন, ভিয়েতনামে প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন। এটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
লি থাই কুয়ান বলেন, প্রথমে যে রোগীদের খোঁজ পাওয়া যায়; তাদের অধিকাংশই ছিল এশিয়ার দেশ থেকে আসা। আর বর্তমানে যে রোগীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে; তাদের প্রায় সবাই ইউরোপের দেশ থেকে আসা। সব রোগীর দেহের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এশিয়া থেকে আসা এমন করোনা রোগীদের করোনাভাইরাস ইউরোপ থেকে আসা রোগীদের থেকে আলাদা।
ইনস্টিটিউটের আবিষ্কারটি বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সাধারণ ধারা অনুসরণ করেছে বলে জানিয়েছেন লি থাই কুয়ান। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গেছে, আলাদা দু’টি করোনাভাইরাসের মধ্যে একটি সংক্রামক বা শক্তিশালী বেশি। আর পরিবেশ, ভৌগোলিক অবস্থান ও সংক্রমিত ব্যক্তির ওপরও নির্ভর করে ভাইরাসের শক্তিশালী দিকটি। তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের এমন পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করার ফলে ভ্যাকসিনের উত্পাদন সহজ হবে।
এর আগে লি থাই কুয়ান ও তার সহকর্মীরা ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে ভাইরাসটির নতুন স্ট্রেন পৃথক করেছিলেন। করোনার নতুন স্ট্রেন ধরতে পারা বিশ্বের চারটি দেশের মধ্যে একটি হলো ভিয়েতনাম। আর সেটি করে দেখিয়েছিলেন লি থাই কুয়ান ও তার সহকর্মীরা।
সূত্র: ভিএনএস।