করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতাবহির্ভুত অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তার অর্থ চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। উদ্যোক্তাদের জন্য সিড মানি হিসেবে ১১০০ কোটি টাকা চেয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হয়েছে। এই সিড মানি দিয়ে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন ৫০০ কোটি ও বিসিক ৬০০ কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা অপেক্ষাকৃত বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিবেচনায় শিল্প মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল এসএমই খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ বিতরণ সংক্রান্ত পরিপত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে পূর্বের ঋণ গ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা পাবে।
‘এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটি’র প্রথম জানানো হয়, বর্তমানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে প্রায় ১৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বর্তমানে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। অবশিষ্ট ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা আনুষ্ঠানিক ঋণ কার্যক্রমে জড়িত নন এবং তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় আনুষ্ঠানিক হিসাব সংরক্ষণে অভ্যস্ত নন। এছাড়া এই সঙ্কটকালে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় এসব অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য অতিজরুরি ভিত্তিতে সিড মানি সংগ্রহ করে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের উদ্যোগে বিশেষ ঋণ কর্মসূচি পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষ ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের অনুকূলে মোট ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে বরাদ্দ দেয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৪৬ হাজার ২৯১টি উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে ৮৭ শতাংশই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। বর্তমানে দেশের উৎপাদন খাতের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। এ শিল্পের সঙ্গে ১৩ লাখ ৯১ হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন।