রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)।
শুক্রবার রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এ তথ্য জানান।
আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই আবদুল হাইয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১২ জুলাই থেকে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হবে।
আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবি’র সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাহ’ এর সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজে ও হাজী তায়েবউদ্দীন হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সহজ, সরল ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত আবদুল হাই একজন ভালো মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি অনেক অবদান রাখেন। তার মৃত্যুতে জেলা শহরসহ পুরো হাওর জনপদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আবদুল হাইয়ের শোক প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এক শোকবার্তায় আইনমন্ত্রী তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।