এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনা সরকারের কাছে জমা দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিন সপ্তাহ আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়েছিল যে, তারা করোনাভাইরাস শনাক্তের সহজ ও সুলভমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু কিটের কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) পেতে দেরি হওয়ায় নমুনা সরবরাহ কিছুটা পিছিয়ে গেছে।
এসব বিষয়ে শুক্রবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সুলভমূল্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণের যে কিট আমরা উদ্ভাবন করেছি, তার কাজ চলছে। কাজের গতিও বেড়েছে। আমরা হোপফুল স্টেজে (আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে) আছি।
দুই সপ্তাহের মধ্যেই কিটের নমুনা সরকারকে দেয়ার বিষয়ে আশাবাদী জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে কিটের নমুনা জমা দিতে পারব। সরকারের ক্লিয়ারেন্স পেলে আগামী মাসেই আমরা উৎপাদিত কিট বাজারে ছাড়তে পারব।
গণস্বাস্থ্যের এই কিট সুলভমূল্যে বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আশাবাদী জাফরুল্লাহ। তিনি জানান, সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকায় করোনার কিট সরবরাহ করার বিষয়ে গণস্বাস্থ্যের চেষ্টা থাকবে।
উল্লেখ্য বর্তমান বাজারে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের যে কিট রয়েছে, তার দাম প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা।