এক মাসের মধ্যে সেবার মান বাড়াতে না পারলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। গাড়ির ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে প্রয়োজনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা যাবে। সেই সঙ্গে পুলিশকে আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজধানীতে যানজট সমস্যার দৃশ্যমান উন্নতি ঘটতে হবে। যানজট ও বায়ু দূষণ নিরসনে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে এক যৌথ সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা, পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
ফাওজুল কবির জানান, গত অক্টোবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। ট্রাকের ক্ষেত্রে এই সীমা ২৫ বছর। এ ব্যাপারে দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছে।
ফাওজুল কবির বলেন, যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাস ব্যবহার করতে বলা হবে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলট ভিত্তিতে নয়টি রুটে কোম্পানিভিত্তিক বাস চলাচল শুরু হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দাম বৃদ্ধি করে বিদ্যুতের ভর্তুকির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে সরকার; সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে খরচ কমানো হবে। এখন থেকে দাম বৃদ্ধির শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল নানা শঙ্কার কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে।
এর আগে, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণঅভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থাটি আরও জানায়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে।