পুরো মার্চ মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৮৭টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৫ জন। অন্যদিকে আহত হয়েছেন ৬৮৮ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়।
গত ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে ঢাকা বিভাগে ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত এবং ১৩২ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৭টি দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত এবং ২২৯ জন আহত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৫৪ জন নিহত এবং ৬৭ জন আহত হয়েছেন। খুলনা বিভাগে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ১৯টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে ৩৬টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং ১১৫ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২১টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছেন।
মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার ১০টি (১.৮৭%), বাস ৮৭টি (১৬.২৩%), পিকআপ ৩০টি (৫.৬০%), অটোরিকশা ৪৮টি (৮.৯৬%), ট্রাক ১০৩টি (১৯.২২%), মোটরসাইকেল ১০০টি (১৮.৬৬%), ব্যাটারিচালিত রিকশা ২টি (০.৩৭%), ইজিবাইক ৮টি (১.৪৯%), ট্রাক্টর ১১টি (২.০৫%), অ্যাম্বুলেন্স ৪টি (০.৭৫%), ভ্যান ১১টি (২.০৫%), মাইক্রোবাস ১২টি (২.২৪%) ও অন্যান্য যান ১১০টিসহ সর্বমোট ৫৩৬টি।
এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায় ৪ জন, বাস দুর্ঘটনায় ৮০ জন, পিকআপ দুর্ঘটনায় ১৬ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৭ জন, ট্রাক দুর্ঘটনায় ৬৪ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৮৭ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ২ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ১ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৪ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ৬ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ৭ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ৯৬ জনসহ সর্বমোট ৪১৫ জন নিহত হয়।