এক বছরে বিদেশে সোয়া ১১ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে এক বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৩ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী আরো জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জানান, সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৩ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে বর্তমানে ১০৪টি প্রশিক্ষন কেন্দ্র এবং ছয়টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিসহ মোট ১১০টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫টি কর্মসংস্থান উপযোগী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গমণকারী কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন (জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত)। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অধিক পরিমাণে জনশক্তি পাঠানোর প্রবাসী কল্যাণ ও বদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে মালদ্বীপ, ব্রুনাই দারুস সালাম ও গ্রীসের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো: সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জানান, জনশক্তি রফতানির জন্য ১৮টি দেশ এবং চীনের স্বায়িত্বশাসিত হংকং-এর সাথে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক রয়েছে। দেশগুলো হলো, কুয়েত, কাতার, ওমান, লিবিয়া, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডান, বাহরাইন, ইরাক, ইউএই, সৌদি আরব, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, কম্বোডিয়া, গ্রিস এবং জাপান। ভবিষ্যতে মাল্টা, আলবেনিয়া, রুমানিয়াসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের সাথে চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

Comments (0)
Add Comment