সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ১০ হাজার। এদের মধ্যে দুই হাজার আটশোর মতো সদস্য ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিজেদের সদস্যদের ঋণ দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবেদনের সমসয়সীমা ছিল ২৫ এপ্রিল।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, দুই হাজার আটশোর অধিক আইনজীবী আবেদন করেছেন। ঋণ দেয়ার জন্য এখন আমরা পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করব। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন। এছাড়া একাধিক সমিতিসহ কয়েকজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতি বরাবরে সীমিত পরিসরে কোর্ট খুলে দিতে আবেদন করেন।
এরপর গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতীব জরুরি বিষয়গুলো শুনানির নিমিত্তে ছুটিকালীন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন। আর হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সব অধিক্ষেত্রের অতীব জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
অপর বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহে দুইদিন জজ কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্তও জানানো হয়।
এ দুই বিজ্ঞপ্তি জারির পর আইনজীবীরা কোর্ট চালু না করতে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি সপ্তাহে দুইদিন জজ কোর্ট খোলার বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতাও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এছাড়া ২৬ এপ্রিল ফুল কোর্ট সভা আহ্বান করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় সাধারণ ছুটিতে (৫ মে পর্যন্ত) কোর্ট খোলার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত থাকবে।