করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে আবারও ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশ্য গত বছরের মতো ঢালাও সুবিধা দেওয়া হয়নি। এবার চলমান ঋণ পরিশোধে আগামী বছরের জুন এবং তলবি ঋণ পরিশোধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
আর যেসব মেয়াদি ঋণ চলতি মার্চের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল তা আগামী জুনে পরিশোধ করলেও তাকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত না করতে বলা হয়েছে। তবে প্রণোদনার আওতায় বিতরণ করা ঋণ যথানিয়মে পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর গত বছরের ১৯ মার্চ এক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রথমে জুন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে দুই দফা সময় বাড়িয়ে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হয়।
এ সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবির মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি এক নির্দেশনার মাধ্যমে জানানো হয়, আপাতত আর বাড়বে না। তবে মেয়াদি ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধে অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়ানো যাবে। তবে কোনোভাবে তা ২ বছরের বেশি হবে না।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, যে সব চলমান ঋণের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হলেও প্রচলিত নীতিমালায় নবায়ন হয়নি। এ ধরনের ঋণের বিপরীতে গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরোপিত সুদ অনাদায়ী থাকলে তা পরিশোধে বাড়তি সময় দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তাকে চলতি বছরের মার্চ থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ৬টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া যাবে। এ নিয়মে সুদ পরিশোধের পাশাপাশি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হলে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। আর তলবি ঋণ চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তি পরিশোধ হলে তা আর খেলাপি করা যাবে না। তবে উভয় ক্ষেত্রে কোনো ত্রৈমাসিকে কিস্তি না দিলে ওই ত্রৈমাসিক থেকে এ সুবিধা বাতিল হবে।