উৎসমুখ ভরাট রেখেই খাল খনন, সেচ দেওয়া যাচ্ছে না পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে

কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর

উৎসমুখ ভরাট রেখেই কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন হয়েছে সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল। অসম্পূর্ণভাবে খাল খননের কারণে হাওরের প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর বোরো জমিতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত খালের উৎসমুখ খুলে দিয়ে সেচ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।

নিকলীর জোয়ানশাহী হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বুরুলিয়া খাল। ২০২২ সালে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে খাল খনন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। কৃষকদের অভিযোগ, খালটির উৎসমুখ ভরাট রেখেই কাজ শেষ করেন ঠিকাদার।

কৃষকেরা বলছেন, নদী থেকে খালে পানি প্রবাহ না থাকায় শুকনো মৌসুমে সেচ সুবিধা মিলছে না। এ কারণে পাঁচ হাজার হেক্টর বোরো জমি আবাদের জন্য বাড়তি খরচ হচ্ছে কৃষকদের। বাড়ছে বোরো ধানের উৎপাদন খরচও।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, চাষিদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খালের উৎসমুখ খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত বুরুলিয়া খালের খননকাজ হয়। ঠিকাদার হিসেবে ছিলেন নিকলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আহমেদ।

নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটি বেকু দিয়ে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ: এদিকে, বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের আয়নারগোপ কবরস্থান হতে পারকচুয়া বোরাগাছ সংলগ্ন ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তার কাজ এ ৩ গ্রামের ৪,০০০-৫,০০০ লোক নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটি বেকু দিয়ে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন।

জানা যায়, ত্রিশ বছর ধরে রাস্তা না থাকার কারণে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসে গ্রামবাসীদের নৌকা দিয়ে ধানগুলো আনতে হতো। কয়েক সরকার বদল হলেও তাদের এ রাস্তার সমাধান কেউ করতে পারেনি। রাস্তার সমাধান করতে না পারায় এ ৩ গ্রামের লোকজন নিজস্ব অর্থায়নে গত ৩ দিন ধরে কাঁচা রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাইজচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন মিয়া, চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজবাহ উদ্দীন মিজান, মো.কবির হোসেনসহ অসংখ্য গ্রামবাসী।

Comments (0)
Add Comment