উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় প্রতীক না দেওয়ার কারণ

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক না দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে তার জন্য বিএনপিকেই পস্তাতে হবে। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার শক্তি কারো নেই।

তিনি বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী মেনে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। কারো অগণতান্ত্রিক আহ্বানে সাড়া না দিয়ে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজযী করেছে। দেশে নতুন করে গণতন্ত্রের বিজয় নিশান উড়িয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক বিষয় রাজপথেই মোকাবিলা করবে। এক বিন্দু ছাড় দিবে না।

মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিকৃত তথ্য উপস্থাপনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস ডিঙিয়ে তারা (বিএনপি) যে বিকৃত তথ্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের বিদেশে সসম্মানে উচ্চারিত একটি নাম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মঈন খান সাহেবদের দল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ৩ নভেম্বর, একুশে আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার, আল বদরের দল। গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে জাতীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মঈন খান এবং তার দলের লোকজন কোথায় ছিল জানতে চেয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়া পাকিস্তানি চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল কি না সেটাই আজকে প্রশ্ন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের অধীনে নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করতেন। বিএনপি প্রমাণ করেছে, এই দল যুদ্ধাপরাধীদের বিশ্বস্ত ঠিকানা। বিএনপি এখনও সেই লিগ্যাসি বহন করে চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments (0)
Add Comment