উচ্চমাত্রার বায়ুদূষণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর বড় কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সের ৬৬টি প্রশাসনিক এলাকায় মৃত্যুহার বেশি। এর মধ্যে পাঁচটি অঞ্চলে মৃত্যুর হার ৭৮ শতাংশ। আর এ পাঁচ অঞ্চলই সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের শিকার।
এসব অঞ্চলের বাতাসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। খবর বিবিসি, গার্ডিয়ানের।
হার্ভার্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, উচ্চমাত্রার বায়ুদূষণের প্রভাবে কোভিড-৯ এ মৃত্যুহার বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বায়ুদূষণের উচ্চমাত্রার কারণে দেশটিতে এতো বেশি মানুষ মারা গেছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ড. মারিয়া নেইরা বলেন, যেসব দেশে উচ্চহারে বায়ুদূষণ ঘটে, সেসব দেশে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর উচিত প্রতিরোধে তাদের প্রস্তুতি বাড়ানো।
অবশ্য চিকিৎসকরা এখনই এতে সায় দিচ্ছেন না। তারা দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, এমনটা বলার আগে আরো গবেষণা চালানো উচিত বলে মনে করেন।
ড. নেইরা বলেন, আমরা এসব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের বড় বড় শহরগুলোর মানচিত্র তৈরি করে সেগুলোর দূষণের মাত্রার সঙ্গে মেলাব। এর ফলে তারা তাদের শহরগুলোতে মহামারির প্রভাব নির্ণয় করতে পারবে।
হারভার্ডের গবেষকরা বলেছেন, যেসব শহরে বিগত বছরগুলোতে বায়ুদূষণের মাত্রা কম ছিল, সেসব শহরে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হারও কম। কমের এই পরিমাণটা শতকরা ১৫ ভাগ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর মৃত্যুহারের নমুনাগুলোর সঙ্গে জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং উচ্চমাত্রার পিএম ২.৫ এক্সপোজারের নিদর্শনগুলোর মিল রয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রণেতা প্রফেসর ফ্রান্সেস্কা ডোমিনিচি বলেছেন, এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা। আরো কাজ করতে হবে। তবে যেসব তথ্য ও নমুনা নিয়ে এই গবেষণা চলছে, তাতে বায়ুদূষণের সঙ্গে কোভিড-৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্পর্ক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে হয়।