পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের ৬৪ শতাংশ কাজ।
রাজধানীর যানজট কমাতে অনেকটাই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এই ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে। গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহনেও আসবে নতুনত্ব। মূলত চট্টগ্রাম থেকে আমদানিকৃত পণ্য উত্তরবঙ্গ পাঠাতে হলে রাজধানীর ওপর দিয়েই চলাচল করতে হয়। ভারী যানবাহন শহর অতিক্রমের সময় যে চাপ সৃষ্টি করে তাতেই তৈরি হয় যানজট। তবে এবার কমবে ভোগান্তি। গতি পাবে অর্থনীতি।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে থাকছে ৪০ টি আন্ডারপাস, ৩টি ব্রিজ, ১টি ইন্টারসেকশন এবং ১টি ফ্লাইওভার। যার বেশিরভাগই এখন দৃশ্যমান। ট্রায়াল ছলছে টোল প্লাজারও।
টোল আদায় করা বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বিআরটিএ সার্ভারের তথ্য এই প্লাজায় ইনপুট করা আছে।এখানে গাড়ি আসা মাত্রই ক্যামেরার মাধ্যমে সব তথ্য পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এক একটি গাড়ির টোল আদায় সম্পন্ন হবে।
৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি উত্তরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে সংযুক্ত করবে। ভুলতায় ঢাকা-সিলেট ও ভোগরায় সংযোগ ঘটাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের। চোখের সামনে এমন স্বপ্ন বাস্তবায়ন দেখে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়কে আগে যানযট লেগেই থাকতো। এমনকি আগে কোনো দোকানপাটও ছিল না। তবে এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে এখন বদলে গেছে এই এলাকা।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ঈদযাত্রার ভোগান্তি কমাতে শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে দুপাশের চার লেনের সার্ভিস রোড। যানবাহনের চাপ বাড়লে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মূল সড়কও।
ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আসলাম আলী বলেন, ‘ঈদের আগেই সার্ভিস লেন খুলে দেয়া হবে। যার ফলে যানজট কমবে। আর যদি গাড়ির চাপ বেশি থাকে, তবে মূল সড়কও আমরা প্রস্তুত রেখেছি।’
২০১৮ সালের চুক্তির আওতায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ২০২১ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে চালু হবে পুরো প্রকল্প।
কাগজে কলমে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্যম এক্সপ্রেসওয়ে হলেও এ সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। একে একে এই সড়কটিতে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেমও। যা পুরুদমে চালু হলে দেশের যোগাযোগ খাতে নতুন এক মাত্রা যোগ হবে এমনটাই বলছেন সংস্লিষ্টরা।