হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয় বলে মন্তব্য করেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্য সরকার। তাদের ভাষ্য, হিজাব পরিধানের বিরুদ্ধে যাওয়া ধর্মীয় স্বাধীনতার সাংবিধানিক গ্যারান্টি লঙ্ঘন করে না। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সঙ্গে এ নিয়ে বিতর্ক করেছে কর্ণাটক সরকার। কারণ, তারা শ্রেণীকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষে। রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী জেনারেল প্রভুলিং নাভাদগি বলেন, ‘আমরা একটি অবস্থান নিয়েছি যে, হিজাব পরা ইসলামের একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অঙ্গ নয়।’ তিনি প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি জেএম খাজি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এম দীক্ষিতের আদালতকে এসব কথা বলেন।
রাজ্য সরকারের শীর্ষ এই আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্যের অনেক স্কুল ও কলেজে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদ চলছে। এর মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল সেটিতে বেআইনি কিছু ছিল না, যা পোশাকের সাম্য, অখণ্ডতা এবং জনশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি আদেশে হিজাবের কোনো বিষয় নেই। সরকারি আদেশ নিরীহ প্রকৃতির। এটি আবেদনকারীদের অধিকারকে প্রভাবিত করে না।’ পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন যে, কলেজগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তারা ক্লাসরুমে হিজাবের অনুমতি দিতে চায় কি না।
আইনজীবী জেনারেল প্রভুলিং নাভাদগি বলেন, ‘রাজ্যের সচেতন অবস্থান হলো, আমরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা বলতে পারতাম, হিজাব ধর্মনিরপেক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিরোধী। বলতে পারতাম, এটা জায়েজ নয়। কিন্তু আমরা এটা বলিনি। এটি রাষ্ট্রের একটি বিবৃত অবস্থান, যা আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাইনি।’
যাইহোক, তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে, ঐক্য এবং সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক নির্ধারণের অংশটি আরও ভালোভাবে বলা যেতে পারে।