ইলেক্ট্রিক গাড়ির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ফল্কসভাগেন

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা জার্মানির ফল্কসভাগেন। গেল বছর কোম্পানিটি ৯০ লাখের বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। তবে ইলেক্ট্রিক গাড়ি খাতে কোম্পানিটি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে৷ সমস্যার সমাধানে কাজ শুরু করেছে ফল্কসভাগেন। কিন্তু এতে ঝুঁকি দেখছেন বিশ্লেষকরা। ডয়চে ভেলে

গাড়িশিল্পের বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক পেড্রো পাচেকো বলেন, ‘বিশ্বের ব্যাটারি বাজারের অনেকটা চীনের ব্যাটারি নির্মাতাদের দখলে৷ বিশেষ করে গাড়ি শিল্পের ব্যাটারির ক্ষেত্রে কথাটা প্রযোজ্য। ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবসায় সফল হওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় দাম কমানো। এবং সেটা নিশ্চিত করতে হবে ব্যাটারির আকার ছোট করে এবং চার্জ থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে।

ফল্কসভাগেনের একটি ইলেকট্রিক গাড়ি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। আইডি.৭ ব্যাটারি একবার চার্জ দেওয়ার পর ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে৷ কিন্তু ইউরোপে এই গাড়ির দাম শুরু হয় ৫৫ হাজার ইউরো থেকে।

চীনা নির্মাতারা শিগগিরই আরও কম দামি গাড়ি নিয়ে ইউরোপের বাজারে ঢুকতে পারে। আর এদিকে, দাম বেশি হওয়ায় চীনের বাজারে ঢুকতে সমস্যায় পড়ছে ফল্কসভাগেন।

প্রযুক্তিখাতেও অনেক নতুন কিছু হচ্ছে: গাড়িগুলো চলন্ত কম্পিউটার হয়ে উঠছে৷ ভবিষ্যৎ হচ্ছে এসডিভি, যার অর্থ ‘সফটওয়্যার ডিফাইন্ড ভেহিক্যাল’৷ এটি গাড়ির ইলেকট্রনিক আর্কিটেকচারের উপর ফোকাস করে।

পাচেকো বলেন, ইদানিং সফটওয়্যারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, এবং ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়বে৷ মোবাইল ফোন থেকে স্মার্টফোনে উত্তরণের সঙ্গে এর তুলনা করা যেতে পারে৷ মোবাইল ফোন খাতের চেয়ে গাড়ি শিল্পখাতে পরিবর্তন আসতে একটু বেশি সময় লাগে।তবে শেষ পর্যন্ত ফলাফলটা একই হবে বলা যায়।

এর অর্থ, কম্বাশন ইঞ্জিন নির্মাতাদের এখন আইটি কোম্পানি হয়ে উঠতে হচ্ছে। সে কারণে ফল্কসভাগেন একটি সফটওয়্যার সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠা করেছে- নাম ‘কারিয়াড। এর পেছনে অনেক অর্থ খরচ করা হয়েছে, যদিও এখনও কাজে আসেনি।

গাড়ি শিল্পের সহায়তায় গড়ে ওঠা ইনস্টিটিউটও বিষয়টি এভাবে দেখছে৷ সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চের বেয়াট্রিক্স কাইম বলেন, এটা পরিষ্কার যে ফল্কসভাগেন একটা গাড়ি কোম্পানি, আইটি কোম্পানি নয়। আর এটাই একটা দুর্বলতা। এছাড়া দক্ষ জনশক্তিরও অভাব আছে। তবে ভবিষ্যৎ যে সফটওয়্যার ডিফাইন্ড ভেহিক্যালের, সেটা নিশ্চিত।

Comments (0)
Add Comment