সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তানে তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটির সেনাবাহিনী। সম্প্রতি গণমাধ্যম মালিকদের ডেকে এক গোপন বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়ার পর দেশটির অধিকাংশ টিভি ও সংবাদপত্র থেকে ইমরান খানের সংবাদ উধাও হয়ে যায়।
গত বছর অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই ইমরান খান দেশটির গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। গত ৯ মে তাকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় তার সমর্থকরা। ফলে আরও ফলাও করে প্রচার হতে থাকে ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সংবাদ।
পিটিআই নেতা বাবর আওয়ান দাবি করেন, চলতি সপ্তাহে ইসলামাবাদে গোপন ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এতে ইমরান খানের সব ধরনের সংবাদ বন্ধ করতে সরাসরি নির্দেশ দেয়া হয়।
একাধিক সাংবাদিক তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানান বাবর।
সামরিক বাহিনী অবশ্য এই নিয়ে লিখিতভাবে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেয়নি। কিন্তু দেশটির ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি এরপর একটি আদেশ জারি করে। তাতে বলা হয়, ‘ঘৃণাত্মক, দাঙ্গাবাজ, তাদের সহায়তাকারী এবং অপরাধীদের’ কভারেজ দেওয়া যাবে না।
নির্দেশনায় ইমরান খানের নাম সরাসরি না থাকলেও এর অর্থ স্পষ্ট বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা।
এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে সহিংসতার পর গ্রেপ্তার হওয়া সমর্থকদের অধিকাংশকেই মুক্তি দিয়েছে ইসলামাবাদের আদালত। পিটিআইর নেতা আলী আওয়ান দাবি করেন, ৩৪টি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মোট ৭১৬ জনের মধ্যে ৬৯১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।