সূর্য ওঠার সাথে ওরা ওদের প্রাণশক্তির কুসুম ফোটাতে পারে।
প্রকৃতিই ওদের প্রার্থনার পাঠ, আর আছে যত ভাষা- বাতাসের বেগ,
নদীর আবেগ,পালতোলা মেঘের সংকেত।
খেটে খাওয়া কর্মোউদ্যমী শ্রমিক ওরা অভিযোগহীন-
কন্ঠে কি অদম্য স্বাধীনতার গান, আদিগন্ত শূণ্য প্রান্তরে নদীর তরঙ্গের মত আছড়ে পড়ে,
ওরা কাজ করে- মাঠে-ঘাটে ,পাহাড়ে জঙ্গলে উদ্দীপনায় চলে দু’টো হাত,
চাওয়ার কিছু নেই, দিনের শ্রম,রাতের ঘুম আর তৃপ্তির ডাল ভাত।
চারদিকে এতো অসত্যের চিৎকার কিছুই মাখেনা গায়,
ওরা কাজ করে কলে- কারখানায়,রিকশা টানে,দাঁড় বায়,
আকাশ স্পর্শ করার কোন আকাঙ্ক্ষাও নেই ওদের।
তবুও ওরা বিশ্বাসের বিনিময় করতে জানে।
কাজ শেষে নিতাই দাস মন্দিরে পুজা দেয়- সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে,
ডেবিড মন্ডল ধান শিশুদের গান শুনতে শুনতে চার্চে যায়
দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে প্রার্থনায় বসে বিমল বড়ুয়া- ‘সব্বে সত্তা সুখীতা…
রফিক, মোতালেব, আজিজেরা দিনভর রোজা রাখে- ওরা কাজ করে
ইফতার আর প্রার্থনা করার একটু সময় ওদের চাই, প্রার্থীত সময় মেলেনি
ধাতব বুলেট বুকের খাঁচা এফোর ওফোর করে,
রক্তে ভেজা আল্লাহ্ র জমিন কেঁপে ওঠে, পড়ে থাকে কোন মায়ের দুলাল !
আর কতকাল অত্যাচারের এ খড়্গ উঁচিয়ে রাখবে বল
যে বিভীষিকার কাল রচেছো তোমরা- এ কালের শেষ কবে?
শব্দের কিরিচে আজ বিদ্ধ হোক খুনীর হৃদপিন্ড,
ধর্মবিদ্বেষের অন্ধকারে বইতে থাক প্রার্থনার ঘূর্ণিঝড় !
রক্তের শপথ! ধ্বংশ হবে, জানি একদিন ধ্বংশ হবে!