ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে আগ্রহী নয় যুক্তরাষ্ট্র: ল্যাভরভ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে রাজি নয়। এই কারণেই তারা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কির ‘ফর্মুলার’ ভিত্তিতে সমাধানের বুলি আওড়াচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

রুশ বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের একমত হওয়া দরকার, এমন ভাবনা থাকা রাজনীতিবিদদের একাংশ এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ল্যাভরভ বলেন, ‘এই ধরনের যুক্তির মানে হলো ইউক্রেনকে আমেরিকার হাতের পুতুল প্রমাণ করা এবং এ সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য আমেরিকানদের শরণাপন্ন হওয়া।’

রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেছেন, ‘তবে সমস্যা হল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত শেষ করার কোন ইচ্ছা নেই। আমি আগেই বলেছি, তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত লক্ষ্য হল রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করা। পাশাপাশি সামরিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যতটা সম্ভব দুর্বল করা। এই কারণেই ওয়াশিংটন বারবার বলছে সমাধান শুধু ইউক্রেনীয়দের শর্ত মোতাবেক হওয়া উচিত। অর্থাৎ ভ্লাদিমির জেলেনস্কির কুখ্যাত ‘শান্তি ফর্মুলার’ ওপর ভিত্তি করে।’

ল্যাভরভ উল্লেখ করেছেন, এটি একটি অর্থহীন শ্রেণিগত অবস্থান। এর কারণে আমাদের মূল নিরাপত্তা স্বার্থ লঙ্ঘন করা হবে এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে রাশিয়ান ও রুশভাষী মানুষরা স্বেচ্ছাচারিতার মুখোমুখি হবে। পশ্চিমাদের আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে রাশিয়া তার জনগণ এবং তার অত্যাবশ্যক স্বার্থকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবে। আমাদের বিরোধীরা যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বুঝতে পারে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষের ফল ভালো হবে না।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, মস্কো পশ্চিমা রাজধানীগুলোর কাছে তার উদ্বেগ জানানোর জন্য খুব গুরুতর প্রচেষ্টা করেছিল। তাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা সম্পর্কিত দুটি খসড়া চুক্তি প্রেরণ করেছিল। তবে, আমাদের উদ্যোগটি অবিলম্বে দাম্ভিকতারসহিত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আলোচনায় জড়িত হওয়ার পরিবর্তে তারা ইউক্রেনকে সরবরাহ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন বাড়ানোর দিকে তাদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে যা আঞ্চলিক উত্তেজনাকে আরও উস্কানি দিয়েছে।

Comments (0)
Add Comment