ইউএসএইডকে অপরাধী সংস্থা বললেন মাস্ক, সমর্থন দিলেন ট্রাম্পও

উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সহায়তা প্রদানকারী মার্কিন সরকারি দাতা সংস্থা ইউএসএইডকে ‘অপরাধী সংস্থা’ বলেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা দু’টি বার্তায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রথম এক্সবার্তায় মাস্ক বলেন, ‘ইউএসএইড একটি অপরাধী সংস্থা এবং এটির মৃত্যুর সময় এখন উপস্থিত।’ পরের বার্তায় মার্কিন জনগণের উদ্দেশে মাস্ক বলেন, ‘আপনারা কি জানেন যে ইউএসএইড আপনাদের করের টাকা জীবাণু অস্ত্র সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যয় করছে? এমনকি যে কোভিডের কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেখানেও বিনিয়োগ ছিল ইউএসএইডের।’

পরে রবিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ইলন মাস্ক বলেন, ‘একদল উগ্র উন্মাদের দ্বারা এই সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে এবং আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি…তারপর আমরা এ সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’

ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, মাস্কের সব সিদ্ধান্তে একমত না হলেও বিশ্বের এই শীর্ষ ধনীর প্রতি তার সমর্থন অটুট থাকবে। তিনি বলেন, ‘সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে তিনি (মাস্ক) খুবই উপযুক্ত। অনেক সময় অনেক ইস্যুতে আমরা একমত হতে পারি না কিংবা তার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি না…কিন্তু তিনি স্মার্ট ব্যক্তি এবং খুবই স্মার্ট। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট কাটছাঁটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।”

প্রসঙ্গত, ইউএসএইড যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসে পাস হওয়া একটি আইনের ভিত্তিতে গঠন করা হয় ইউএসএইড। এই সংস্থাটি ত্রাণ ও উন্নয়ন সহায়তাবাবদ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ২৮০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করে। ইউএসএইডের তহবিল সংস্থানের দায়িত্ব কংগ্রেসের এবং এ সংস্থাটি তার কার্যক্রমের জন্য কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য।

অন্যদিকে, ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডজ) নামে নতুন একটি দপ্তর গঠন করেন ট্রাম্প, যার মূল দায়িত্ব সরকারি খাতে অপব্যয় রোধ করা এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়ানো। ইলন মাস্ককে সেই দপ্তরকে শীর্ষ নির্বাহী করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের আদলে গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতি পায়নি ডজ, মাস্কও মন্ত্রী হতে পারেননি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস এখনও ডজকে মন্ত্রণালয় হিসেবে অনুমোদন দেয়নি।

সম্প্রতি ডজের কয়েকজন কর্মকর্তারা ইউএসএইডের দপ্তরে গিয়ে সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখতে চান; কিন্তু ইউএসএইডের কর্মকর্তারা সেসব নথি বের করতে অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনার পরেই এক্সবার্তায় ইউএসএইডকে অপরাধী সংস্থা বলে মন্তব্য করেন মাস্ক।

Comments (0)
Add Comment