২০১২ সালে শেষবার অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে হারিয়েছিল আর্সেনাল। এবারো পারলো না গানাররা। প্রথমে লিড নিয়েও ৩-১ গোলে হেরেছে মিকেল আর্তেতার দল। আক্রমণভাগে দু’দলের বিস্তর ফারাকই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে তিন ম্যাচের সবকটিতেই জিতল লিভারপুল। চলতি মৌসুমে দু’দলের এটি দ্বিতীয় সাক্ষাত। কমিউনিটি শিল্ডে টাইব্রেকারে লিভারপুলকে হারিয়েছিল আর্সেনাল। আগামী বৃহস্পতিবার আবারো মুখোমুখি হবে লিভারপুল-আর্সেনাল।
লীগ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচটি হবে অ্যানফিল্ডে। অলরেডদের ঘরের মাঠে আট বছরের জয়খরা কাটানোর আরেকটি সুযোগ গানারদের সামনে।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ছিল লিভারপুল। ধারার বিপরীতে ২৫তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় আর্সেনাল। এইন্সলি মেইটল্যান্ড-নাইলসের ক্রস ডি-বক্সে ক্লিয়ার করতে গিয়ে লাকাজেতের পায়ে তুলে দেন লিভারপুল ডিফেন্ডার রবার্টসন। বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশে দলকে এগিয়ে দিতে কোনো ভুল করেননি ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড লাকাজেতে। আর্সেনালের লিড টিকেছে মোটে আড়াই মিনিট। ২৮তম মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে সালাহ দারুণ দক্ষতায় আর্সেনাল ডিফেন্ডার টিয়েরনিকে পাশ কাটিয়ে গোল বরাবর শট নেন, লেনো সেটা ঠিকভাবে ঠেকাতে পারেননি, তার হাত ফসকে গোলমুখে দাড়িয়ে থাকা মানের পায়ে গিয়ে পড়ে বল। সেখান থেকে ট্যাপ-ইন ফিনিশে বল জালে জড়িয়ে দলকে সমতায় আনেন সাদিও মানে।
৩৪ মিনিটে দুই ফুলব্যাকের দারুণ সমন্বয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডান প্রান্ত থেকে অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের মধ্য থেকে লেনোকে পরাস্ত করে আর্সেনালের প্রথম গোলে নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন রবার্টসন। আর এই গোলের সুবাদে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল।
থিয়াগোকে এই ম্যাচে না পেলেও উলভস থেকে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ডিয়েগো জতাকে এই ম্যাচে খেলিয়েছেন ক্লপ। আর অলরেডদের হয়ে নিজের অভিষেকেই গোল পেয়েছেন জতা। ৮০ মিনিটে মানের বদলি হিসেবে নামেন তিনি। ম্যাচে তখন ২-১ গোলে এগিয়ে লিভারপুল, এগিয়ে থাকলেও জয় তখনো নিশ্চিত হয়নি তাদের। আর এমন সময়ে ক্লপ মানেকে উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কোচের সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি ছিলেন না মানে, তাই ডাগআউটে কিছুক্ষণ মানেকে সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও বুঝাতে হয়েছে ক্লপকে। তবে বদলিটি শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে স্বাগতিকদের। ৮৮তম মিনিটে জতার গোলেই যে নিশ্চিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত জয়।