গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন একজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন ১১২জন আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জন। মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ২১। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
নিজের বাসা থেকে এই অনলাইন বুলেটিন উপস্থাপনে যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে আইসোলেশন বেড সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) ২ হাজার বেড, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেটে ১ হাজার ৪০০ বেড ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে চারটি ভবনে ১ হাজার ২০০ বেডের আইসোলেশন ইউনিটসহ আরও মোট ৫ হাজার ৬০০ বেডের আইসোলেশন ইউনিট যুক্ত হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এতে যুক্ত হন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, সারাদেশের ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টাই সব ধরনের রোগীকে সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এসব হাসপাতালের কয়েকটি করোনা রোগীদের সেবা দিতে নিবেদিত থাকবে। সব ধরনের রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বেসরকারি ২০ হাজার ডাক্তার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরে থাকতে হবে। ঘরে থাকলে নিজে ও পরিবারের সদস্যসহ সবাই ভাল থাকবেন। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরও তারা গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার কথা বলেছেন তারা। এ সময় আইইডিসিআর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় সংগ্রহ করা হয়েছে ৬১৮টি। বাকি নমুনাগুলো ঢাকার বাইরের। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী ¯্রিেবনা ফ্লোরা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় যে ১১২ জন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের ৬২ জনই ঢাকার। আর ১৩ জন নারায়ণগঞ্জের। আক্রান্তদের মধ্যে ৭০জন পুরুষ। বাকিরা নারী। মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।