আবারো লকডাউনে ইংল্যান্ড, বড়দিন-নববর্ষের উৎসব বাতিল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রকম বৃদ্ধি পেতে থাকায় লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের বড় অংশে আবারো লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বড়দিন ও নববর্ষের উৎসব।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এই লকডাউন কার্যকর হচ্ছে। এর ফলে চার স্থরের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে লন্ডন, সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ড এবং ইস্ট ইংল্যান্ড। এর ফলে কয়েক মিলিয়ন মানুষ বিধিনিষেধের আওতায় এসেছে।

লকডাউনের ফলে চার স্থর বিশিষ্ট বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে যেসব অঞ্চলে, সেসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের অবশ্যই বাড়িতে থাকতে হবে। এবারের লকডাউনে অগুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে এমন দোকানপাট এবং জিম বন্ধ থাকবে। যতটুকু সম্ভব বাসা থেকে কাজ করতে হবে এবং বিধিনিষেধভুক্ত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশ বা বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে খোলা থাকবে মসজিদসহ উপাসনালয়।

নিষেধাজ্ঞা চলবে দুই সপ্তাহ ধরে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পুনরায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তবে তার আগে লকডাউন চলাকালে সবার জন্য ‘স্টে হোম অর্ডার’ জারি থাকবে।
এছাড়া জরুরি কাজ না থাকলে বিদেশ সফর না করার আহ্বান জানিয়েছেন বরিস জনসন। বড়দিনে বাসার বাইরে কোনো উৎসব বা সমাবেশ করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বাইরে না করে পারিবারিকভাবে দিনটি উদযাপন করার কথা বলা হয়েছে। তবে এই সুযোগটুকুও থাকছে না নববর্ষের জন্য। থার্টিফার্স্ট নাইটেও অন্যান্য দিনের মতো কড়াকড়ি জারি থাকবে।

বরিস জনসন বলেন, ‘আমি জানি মানুষ বড়দিনে কত আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসব করার জন্য। দিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়া কতখানি হতাশার তা আমি জানি। তবে আমাদেরকে এখন অবশ্যই বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘এবারের বড়দিন ভিন্ন হবে কারণ আমাদের বাস্তববাদি হওয়া জরুরি। এবারের বড়দিনে যদি আমরা ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে পারি তাহলে ভবিষ্যতের বড়দিন আরো মধুর হবে।’

বক্তব্যের শেষে বৃটিশ নাগরিকদের ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানান বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘বৃটেন পৃথিবীর প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছে। তাই যখন এনএইচএস কর্মীরা আপনাকে ফোন করবে, আপনারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।’

Comments (0)
Add Comment