আফগানরা ২০৮ রানেই গুটিয়ে গেল

রহমত শাহ লড়াই করেছেন। সেঞ্চুরি পাননি, শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ৯০ রানে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে আফগানিস্তানের ইতিবাচক দিক বলতে এটুকুই। বাকি গল্পটা হতাশার।

করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলটি শুক্রবার (২১ফেব্রুয়ারি) হেরেছে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে। টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের জবাবে আফগানরা গুটিয়ে গেছে ২০৮ রানে।

জিততে হলে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড গড়তে হতো হাশমতউল্লাহ শহীদির দলকে। ওয়ানডেতে যে এর আগে কখনোই ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি আফগানরা। আর সেই কাজটা করার মূল দায়িত্ব ছিল আফগান দুই ওপেনারের ওপর। কিন্তু রহমানউল্লাহ গুরবাজ (১০) ও ইব্রাহিম জাদরানের (১৭) কেউই ভালো করতে পারেননি। ব্যাট হাতে আফগানিস্তানের হয়ে লড়াই করেছেন শুধু রহমত শাহ।

রহমত শাহ করেছেন ৯০ রান
রহমত শাহ করেছেন ৯০ রানএএফপি
দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ করে রান এসেছে রশিদ খান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে। এভাবে কি ৩১৬ রানের লক্ষ্যে ছোঁয়া যায়! দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১৫ রান তুললেও উইকেট যে খুব বেশি ব্যাটিং–সহায়ক ছিল, তা বলা যাবে না। বাউন্স ছিল অসমান। প্রথম ইনিংস শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান রেসি ফন ডার ডুসেন তো এই উইকেটকে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্সে টেস্টের তৃতীয় দিনের উইকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তারাও চোখ–কান খোলা রেখে খেলেছে। সতর্ক হয়ে খেলেও প্রোটিয়ারা তুলেছে ৬ উইকেটে ৩১৫ রান, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

শুক্রবার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেলটন। ৭ চার ও ১ ছক্কায় সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১০১ বলে। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রান করে যখন রানআউট হলেন, ততক্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩৫.৩ ওভারে ৩ উইকেট ২০১। মানে মঞ্চটা অন্যদের জন্য প্রস্তুত।

রিকেলটন ফেরার পর শেষ ৮৭ বলে অবশ্য মাত্র ১১৪ রান তুলতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকায় শেষ দিকে রানের গতি খুব বেশি না বাড়লেও সংগ্রহটা বড় হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। এর কৃতিত্ব পাবেন ফিফটি করা তিন ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা, ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মিলিত প্রয়াসেই মূলত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অভিষেক ম্যাচটা মোটেই রাঙাতে পারেনি আফগানরা। ম্যাচের আগেও বৃহস্পতিবার(২০ ফেব্রুয়ারি) দলটির অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ বলেছিলেন, আফগানরা চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছে। কিন্তু যেমন গর্জন দিয়েছিলেন, শুরুতে তেমন বর্ষণ কই!

 

Comments (0)
Add Comment