এপার বাংলা-ওপার বাংলায় সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মাথার মুকুটে আর একটি পালক সংযোজিত হল। ইন্দ্রাশিস আচার্য পরিচালিত পার্সেল ছবিতে অভিনয়ের জন্যে ঋতুপর্ণা ডিসি সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগেও ছবিটি উচ্চ প্রশংসা পেয়েছিল বিভিন্ন বিদেশী চলচ্চিত্র উৎসবে। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও এই ছবিটি তারিফ পায়। ঋতুপর্ণা পুরস্কার পেয়ে উচ্ছসিত। তিনি, এতদিন চলচ্চিত্র জগতে থাকলেও আজও কাজের অবদান স্বীকৃতি পেলে তাঁর ভালো লাগে।
টেলিফোনে মাল্টিনিউজকে সেই উচ্ছাস গোপন করলেন না এই প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী। বললেন, পুরস্কার পেতে কার না ভালো লাগে।
তবে, আমি খুশি ইন্দ্রাশিস এর এই ছবিটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায়। ছবিটিতে আবেগ যেমন আছে তেমনই আছে বাস্তব। ছবিতে নন্দিনী চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে ঋতুপর্ণা সেরা নায়িকার সম্মান পেয়েছেন। বললেন, ইন্দ্রাশিস এর ছবি কথা বলে। এর আগে ওর ছবি বিল্লু রাক্ষস ও পেউপা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিল এবারও তাই হল। গত তিন দশক হল ঋতুপর্ণা এপার বাংলা-ওপার বাংলার দর্শকদের মাতিয়ে আসছেন।
মাঝে করোনার কারণে সিঙ্গাপুরে স্বামী-পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘসময় আটকে পড়ার পর ঋতু আবার কাজের জগতে ফিরেছেন। ফিরেই এই আন্তর্জাতিক সম্মান নতুন করে কাজে উৎসাহ যোগাবে, মনে করছেন ঋতুপর্ণা। এদিন ঋতুপর্ণা ছাড়াও আর এক বাঙালি পরিচালক অনন্য একটি সম্মান পেয়েছেন। সুস্মিত ঘোষ – রিন্টু টমাস পরিচালিত ছবি রাইটিং উইথ ফায়ার অস্কারে তথ্যচিত্রের সেরার তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছে। দলিত মহিলাদের পরিচালিত একটি খবরের কাগজ কি ভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় পরিণত হল তার বিবরণ এই ছবিতে। সুস্মিত বলেছেন, এই সম্মান তাঁর কাছে অভাবনীয়।