আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইলে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন

১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকারিভাবে ক্ষমা না চাইলে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে সম্পর্ক কিছুটা উন্নত হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা তো অস্বীকার করতে পারি না যে ১৯৭১ সালে গণহত্যা হয়েছে। এটি যে স্বীকার করবে না তার সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় শিথিল থাকবে। আমরা বিভিন্ন আলোচনায় তাদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি বলেছি। তারাও বেসরকারিভাবে বলেছে। কিন্তু আমরা সরকারিভাবে চাই।

তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে বলার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দায়িত্ব চলে আসে। জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোরিয়ানদের ওপর অত্যাচার স্বীকার করার পরে যারা নিগৃহীত হয়েছিল তাদের সহায়তা করেছিল। সুতরাং ‘আমরা দুঃখিত’ মুখে বললে হবে না। এর সঙ্গে আমাদের দেনদরবার হবে এবং এটি মিটিয়ে ফেলার জন্য ইতিবাচক উদ্যোগ নিতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির জন্য এবং আমাদের কিছু লোক পাকিস্তানে ছিল ও তাদের কিছু লোক বাংলাদেশে ছিল এবং তাদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য শান্তি চুক্তি সই করেন। তিনি ১৯৫ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে মাফ করেছিলেন এক শর্তে যে পাকিস্তানে তাদের বিচার করবে। কিন্তু পাকিস্তান সেই অঙ্গীকার রাখেনি। আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছি এবং তারাও কিছু একটি করুক।

মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং একটি ভিডিও মেসেজ দেবেন।

তিনি বলেন, ওই বার্তাটি তাদের একজন কাউন্সেলর, যিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার ওপরে, তিনি হয়তো নিয়ে আসবেন। এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করেছে। ওই অনুষ্ঠানে তারা এটি প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়াও অনেকে ভিডিও মেসেজ দেবেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এসব মেসেজ ২৬ মার্চের আগে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। হয়তো তারা কোনও ধরনের মেসেজ সংগ্রহ করবেন। এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, কিন্তু কাজ চলছে।

Comments (0)
Add Comment