গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর এবং সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম। বাংলা গানে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। সেজন্য পেয়েছেন বহু সম্মাননা ও পুরস্কার। এবার সে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও একটি নাম- চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। হ্যা, ‘বাংলা আধুনিক গানে অসামান্য অবদান’ এর জন্য ১৪তম চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-এ আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন তারা দুজন।
একান্ত আলাপচারিতায় মাল্টিনিউজটোয়েন্টিফোর এর কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দুই গুণীজন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত ফকির আলমগীর বলেন, ‘গণসংগীতের জন্য এর আগেও বহু সম্মাননা পেয়েছি। চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড এবং মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার—দুটিরই শিল্পীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং বেশ মর্যাদারও। এ স্বীকৃতি আমার একার নয়, আজীবন যাঁরা গণসংগীত করে আসছেন, এখন যাঁরা করছে—তাঁদের সবাইকে আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি।’
‘৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মৌলবাদ-জংগিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো আগামীর সব আন্দোলনে এ পুরস্কার আমাদের উৎসাহিত করবে’, যোগ করেন- ও সখীনা গেসস কিনা ভুইল্লা আমারে গানের শিল্পী ফকির আলমগীর।
আর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এর শিল্পী রফিকুল আলম বললেন, সংগীতজীবনে তিনি খুব একটা পুরস্কার পান নি। ‘সংগীত জীবনে আমি কখনো কম্প্রোমাইজ করিনি। আমার ভালো গানের সংখ্যাই তাই বেশি। আমার সমগ্র সংগীতজীবনের মূল্যায়নের জন্য স্বীকৃতি দিচ্ছে চ্যানেল আই। আধুনিক গানের সঙ্গে আমার চিরকালের সম্পর্ক। এই স্বীকৃতিটা তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ, অনেক মর্যাদাপূর্ণ, অনেক বড় আনন্দের’, বলেন- তুমি আমার মনের মানুষ গানের শিল্পী রফিকুল আলম।
প্রসঙ্গত, দেশের সুস্থ ধারার সংগীতকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’।
এ উপলক্ষে সংগীতের সকল শাখার অসংখ্য শিল্পী একই মঞ্চে এক হতে যাচ্ছেন আজ। এবারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠিত হবে সিলেট হবিগঞ্জের দ্যা প্যালেসে সন্ধ্যা ৭টায়।
যে বিভাগগুলোতে সম্মাননা দেয়া হবে সেগুলো হলো- শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্র সংগীত, শ্রেষ্ঠ নজরুল সংগীত, শ্রেষ্ঠ লোক সংগীত, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও, শ্রেষ্ঠ কাভার ডিজাইন, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, শ্রেষ্ঠ আধুনিক গান, শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড, শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী, শ্রেষ্ঠ ছায়াছবির গান, শ্রেষ্ঠ উচ্চাঙ্গসংগীত কণ্ঠ এবং শ্রেষ্ঠ উচ্চাঙ্গসংগীত যন্ত্র।