২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বৈদিশেক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার হবে। ২৮ আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৯শ’ কোটি মার্কিন ডলার। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক (ভার্চুয়াল) শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একথা জানান। বৈঠকে ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য ব্যয় হবে ৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
রিজার্ভের অর্থ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি- আমাদের যদি ভালো এবং সরকারের স্পন্সর প্রজেক্ট থাকে সে ধরনের প্রজেক্টে যদি অর্থায়ন করি, তাহলে একদিকে আমাদের ঋণ বাড়ল না, আরেক দিকে আমাদের টাকা নিজের ঘরেই রয়ে গেল এবং আমরা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলাম।
রিজার্ভ ব্যবহারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লোন দেয়ার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার এখানে কোনো অবস্থান নেই, কারণ আমি টাকা নেবও না ব্যয়ও করব না। এটি পরিকল্পিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। কমার্শিয়ালি বেনিফিট হয় সেভাবে কাজে লাগানো হবে।