অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার, যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং জীবন রক্ষা করে। তবে, এটি শরীরের সব ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে— এ ব্যাপরটা ক্ষতিকর এবং উপকারী উভয়ই হতে পারে। ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যা সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের শরীরে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
এর মধ্যে কিছু উপকারী, আবার কিছু ক্ষতিকর। অ্যান্টিবায়োটিক ভালো-মন্দের পার্থক্য না করে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে। এর ফলে, শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ডায়রিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণের মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে ডায়রিয়া, বদহজম, বমি বমি ভাব, জ্বর, পেটে ব্যথা এবং ক্ষুধামন্দার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। প্রোবায়োটিক— যেমন, দই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে, তবে নিশ্চিত করতে হবে যেন দইটি রং ও চিনিমুক্ত। এছাড়া প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়ক। যেমন, কাঁচা কলা, ওটস, ছোলা, মসুর ডাল, পেয়াজ, রসুন, বাদাম ইত্যাদি।
সূত্র : বিবিসি