অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছেন গবেষকরা। অত্যাধুনিক ড্রোনটির নাম ‘দ্য উইন্ডরেসারস আলট্রা’। অচিরেই অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস) গবেষণা কেন্দ্রের আশপাশে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে। মানববিহীন এই ড্রোন উড়িয়ে মহাদেশটির ম্যাপ বানাতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন গবেষকরা।
বরফ গলতে থাকার ফলে অ্যান্টার্কটিকার বর্তমান অবস্থা এখন কী সে বিষয়ে তথ্য দেবে ড্রোনটি। বিএএসের ভূ-পদার্থবিজ্ঞানী টম জর্ডান বলেন, ‘অ্যান্টার্কটিকার বরফের আস্তরণে কিভাবে পরিবর্তন ঘটছে তা জানতে হাই রেজল্যুশন ছবির মাধ্যমে ডাটা সেট তৈরি করা দরকার। বরফ গলার ফলে সারা বিশ্বের মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে সেটা নিয়েও গবেষণা করা জরুরি। কারিগরি সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
স্বয়ংক্রিয় ড্রোনটি টানা কয়েক ঘণ্টা উড়তে পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার খরচ কমাবে এবং প্রচলিত আকাশযান, যেমন ছোট প্লেন বা হেলিকপ্টারের চেয়ে ঘণ্টায় কার্বন নিঃসরণ ৯০ শতাংশ কমাবে। ড্রোনটিতে আছে দুটি ইঞ্জিন, ১০ মিটার দুটি লম্বা পাখা, সেন্সর, রাডার ও ক্যামেরা। ড্রোনটি নিয়ে চালানো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হলে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো সহজ হবে।
সূত্র : ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং