অভিষেক টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ওপেনার হিসেবে ইতিহাস গড়ে মেলবোর্নে ভরা গ্যালারির সামনে রোমাঞ্চকর ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন সদ্য কৈশোর পেরুনো ডানহাতি ব্যাটার। কনস্টাসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমনের দিনে বাংলাদেশের নামও আলোচনায় এসেছে এক কোচের সৌজন্যে।
বক্সিং ডে টেস্ট শুরুর আগেই আলোচনায় ছিলেন কনস্টাস। তার চেয়ে দ্বিগুণ বয়েসের উসমান খাওয়াজার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে খেলেছেন ৬৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস, ৬ চারের সঙ্গে মেরেছেন ২ ছক্কা। জাসপ্রিট বুমরাহকে সুইচ হিটে ছক্কা মারার সাহস দেখিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি।
কনস্টাসের আলোয় আসার দিনে তাহমিদ ইসলামও এসেছেন আলোচনায়। তাহমিদ মূলত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। জন্ম অস্ট্রেলিয়ায় হলেও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অল্প বিস্তর খেলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংকের স্কোয়াডে ছিলেন তাহমিদ। অজি গণমাধ্যম দ্য এজ তাদের প্রতিবেদনে অবশ্য তাকে সাবেক বাংলাদেশি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
খেলা ছাড়ার পর কোচিং পেশায় যান তাহমিদ। তরুণ কনস্টাসের ব্যক্তিগত ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। কনস্টাস যেহেতু অল্প বয়সী অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড তার ব্যাটিং কোচ তাহমিদকে দলের সঙ্গে রাখার অনুমতিও দিয়েছেন।
মেলবোর্নে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। আগের সবগুলো টেস্টে শুরুতেই বুমরাহর তোপে পড়লেও এবার হয়েছে ভিন্নতা। খাওয়াজা এক পাশে ছিলেন ধীর-স্থির, কনস্টাস বাড়িয়েছেন রান, খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে।
তার খেলার ধরণ চাপ তৈরি করে ভারতীয় ফিল্ডারদের মাঝে। মোহাম্মদ সিরাজ তরুণ এই ব্যাটারকে বাধ্য হয়ে স্লেজও করেন। ভারতীয়দের হতাশা কাটান রবীন্দ্র জাদেজা। অভিষেকে ফিফটি পেরিয়ে আরও বড় কিছুর দিকে ছুটতে থাকা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউতে থামান তিনি। ভাঙে ওপেনিংয়ে ৮৯ রানের জুটি।
কনস্টাসের বিদায়ের পর মারনাশ লাবুশানেকে নিয়ে আরেক জুটি পান। ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন বুমরাহ। ১২১ বলে ৫৭ করা খাওয়াজাকে তুলে নেন তিনি।