বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে গত অক্টোবর থেকেই দ্বন্দ্ব চলছে ফুটবলারদের। চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময়ই বাটলারের সঙ্গে নারী ফুটবল দলের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এদিকে বাটলারের সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাফুফে। তবে বাটলারের অধীনে না খেলার ঘোষণা দিয়েছেন ফুটবলাররা।
বাটলারের অধীনেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বাটলারের অধীনে আর খেলতে চান না ফুটবলাররা। ব্রিটিশ কোচের অধীন কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন সাবিনা খাতুনরা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এই ব্রিটিশ কোচকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে একযোগে অবসরের হুমকিও দিয়েছেন সাবিনারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ সব ঘোষণা দেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমাসহ ১৮ ফুটবলার।
গত সোমবার টিম মিটিং ডেকেছিলেন বাটলার। তবে প্রধান কোচের মিটিংয়ে দলের ফুটবলাররা অংশ নেননি। আজ সকালে জিম সেশনের আয়োজনও করেছিলেন বাটলার। তবে ক্যাম্পে থাকা ২৯ খেলোয়াড়ের কেবল ১২ জন অংশ নিয়েছিলেন জিম সেশনে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ‘নারী ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার ইস্যুতে আমাদের অবস্থান, প্রশ্ন এবং যত অভিযোগ’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে নিজেদের ঘোষণা দিয়েছেন ফুটবলাররা যাতে সই করেছেন সাবিনা, মনিকা, শামসুন্নাহার, সানজিদা, ঋতুপর্ণা, মাসুরাসহ ১৭ সিনিয়র ফুটবলার।
লিখিত বক্তব্য বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি বাফুফের মাননীয় সভাপতি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে আশু সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন। এর আগ পর্যন্ত আমরা পিটারের অধীনে কোন ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নেবো না।’
সবাই একযোগে পদত্যাগ করবেন জানিয়ে বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু গত অক্টোবরের পর ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফে চুক্তি নবায়ন করেনি, তাই আইনত বাফুফে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে না। তারপরও যদি সেরকম কিছু করার সিদ্ধান্ত হয় এবং পিটার বাটলারকেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বাফুফে অনড় থাকে, তবে আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব। ভেবে নিব, দেশের নারী ফুটবলে আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।’