মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। জনগণকে সরকার বিরোধী কাজে উসকানি দেওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাজা দেওয়া হলো।
এর আগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কে দেওয়ার এ মামলাটির রায় গত ৩০ নভেম্বর ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল।
মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র জাও মিন তুন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সরকার বিরোধীকাজে উসকানি দেওয়ার জন্য আং সান সুচিকে দুই বছর এবং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই অপরাধে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও চার বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।’
উইন মিন্ট ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ১০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছর অং সান সু চির সঙ্গে তাকেও ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী।
এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত এই দুই নেতাকে আপাতত কারাগারে নেওয়া হচ্ছে না। রাজধানী নেপিডোতে তাদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ গঠন করা হবে।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সে সময় শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চিসহ তার রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অং সান সু চির বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এসব মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে ৭৬ বছর বয়সী এ নেত্রীর ১০২ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন