সেনেগালকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড

১৯৬৬ সালের পর ইতিহাস সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে আবারও বিশ্বকাপ মাতাতে এসেছে ইংল্যান্ড । অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোতে উঠে তা প্রমাণও করেছে ইংলিশরা। রবিবার আল বায়ত স্টেডিয়ামে অনেকটা হেসে খেলেই সেনেগালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হ্যারি কেইনের ইংল্যান্ড। শেষ আটে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপে টানা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। আবারও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সেনেগালের বিপক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে সাউথগেটের দল। যার ফলও তারা পেয়ে যায় ৩৮ মিনিটে। এর আগে ৩১ মিনিটে পিকফোর্ড ও ইসমাইলসার মুখোমুখি হলে সারের শট রুখে দেন পিকফোর্ড। তবে ৩৮ মিনিটে ঠিকই গোল পায় ইংলিশরা। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানের লিড এনে দেন লিভারপুলের অধিনায়ক হেন্ডারসন।

৪৩ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু লুক শর শট দারুণভাবে রুখে দেন সেনেগালের চেলসি গোলরক্ষক মেন্ডি।

চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখে বিরতির আগে আবারও লিড পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।

ফিল ফোডেনের দারুণ ক্রসে এবার দলের হয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। ৫৭ মিনিটে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বুকোয়া সাকা। বিশ্বকাপে ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো তিনটি। আসরের শুরুতে ইরানের বিপক্ষে ৬-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি।
বাকি সময়ে সেনেগাল মাঝেমধ্যে পাল্টা আক্রমণে চেষ্টা করেছে। গোলের উদ্দেশ্যে শটও নিয়েছে। যদিও তা একটুও পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি পিকফোর্ডকে।

আগামী শনিবার এই মাঠেই ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড। পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে দিদিয়ে দেশমের দল।

Comments (0)
Add Comment