বিক্ষোভের খবর প্রচার করায় থাইল্যান্ডে টিভি চ্যানেল বন্ধ

সরকার ও রাজতন্ত্রবিরোধী খবর প্রচার করায় থাইল্যান্ডে একটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার এক নির্দেশে দেশটির একটি আদালত বলেছেন, জরুরি অবস্থা লঙ্ঘনের অভিযোগে অনলাইন টিভি স্টেশন ভয়েস টিভি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ডের ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভুয়া তথ্য প্রচার করায় ভয়েস টিভির বিরুদ্ধে কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্টের আওতায়ও অভিযোগ আনা হয়। শুধু টিভি চ্যানেলই নয়, ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের টেলিগ্রাম ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

সোমবার সরকারের ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে এ কথা বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নথিটি ভাইরাল হয়ে গেছে। বিবিসি, আরব নিউজ ও ব্যাংকক পোস্ট।

চলতি বছরের মধ্য-জুলাই থেকে চলমান বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ, সাংবিধান পরিবর্তন ও রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার থাই সরকার জরুরি অবস্থা আরোপ করলেও বিক্ষোভকারী তা অমান্য করেই রাজপথে প্রায়ুথের পদত্যাগের স্লোগান দিচ্ছেন এবং ট্যাবু ভেঙে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তবে বিক্ষোভ ভণ্ডুল করতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ব্যাপক দমনপীড়ন চালাচ্ছে সরকার।

এবার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপরও খক্ষ চালাল কর্তৃপক্ষ। ভয়েস টিভি ছাড়াও আরও তিনটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন আদালত।

আদালত দ্য স্ট্যান্ডার্ড, দ্য রিপোর্টার্স, ভয়েস টিভি, প্রাচাতি ও ফ্রি ইয়ুথ মুভমেন্টের ফেসবুক পেজ বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয় অ্যাপ। ব্যক্তিগত ও সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম এটি। বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হওয়ার জন্য অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকে।

অ্যাপ ব্লক করার নথিটি তৈরি করেছে দেশটির ডিজিটাল অর্থ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় সেন্সর বোর্ড হিসেবে কাজ করে।

Comments (0)
Add Comment