ডিপ্রেশনে যাওয়ার আগেই কথা বলো, কথা বলাটা জরুরী

ক্ল্যাসিক্যাল এবং আধুনিক গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। বাংলাভিশনে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি পত্রিকায় কলামও লিখছেন নিয়মিত। সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোযাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সরব তিনি। গতকাল ফেসবুকে যেমন লিখেছেনঃ

‘আজকাল আমরা সবাই একধরনের মানসিক চাপের মধ্যেই জীবন অতিবাহিত করি। খুব প্রাণখোলা কোন আনন্দ নাই কারো মনে। ভেবে হাসি,ভেবে কথা বলি। কোন সহজ নিরপেক্ষ সুখ নাই। যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততায় একটুও স্বস্তি নেই। দুদন্ড স্থিরতা নাই! আজ খুব ঝামেলার মধ্যেও কাজেরই কারনে একটু ভালো থাকার মতো মন তৈরী করে বাইরে গিয়েছিলাম । একটা দারুন জায়গায় গিয়ে ছবিও তুললাম। হাসলাম। ভাবলাম চমৎকার জায়গাটা নিয়ে ছবিটা পোষ্ট করে বলবো, বলো তো কোথায় আমি? কিন্তু হলোনা……

গাড়িতে উঠতেই শুনলাম বাংলাভিশনের প্রযোজক নাহিদ বিপ্লবের ব্রেন স্ট্রোক করেছে! ওমা একি খবর? কি এতো টেনশন করতো, চাপা স্বভাবের বিপ্লব? জানিনা কি হবে! আয়েশা মেমোরিয়ালে আছে। দেখতে গিয়ে মনটা ভেঙে গেছে আরো!কতো রুগী ,কতো টেনশন, কতো কান্না চারপাশটায়!

বিপ্লবের ব্রেনের মধ্যে এমন এক ক্রিটিক্যাল জায়গায় রক্তক্ষরণ হয়েছে ,যেখানে অপারেশন করা সম্ভব নয়। ট্রিটম্যান্ট চলছে, সবাই সচেতনভাবে কাজ করছেন ডাক্তাররা। কিন্তু সবটাই খুব জটিল অবস্থানে। জানিনা কি হবে! মিরাক্যাল যদি হয় আল্লাহ মালিক তিনি জানেন। কখন কার কি হবে জানিনা।

প্রত্যেক মানুষ বর্তমানে টেনশন থেকে নানা রকম মানসিক এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শারিরিক ঝুঁকিতে থাকছি। বিশেষ করে হাইপার টেনশন। আমাদের একটু শান্ত হতে হবে। জীবন যাপন বড় কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

দয়া করে সবাই অন্তত: ঘুমকে সময় দিন। একটা sound sleep কি যে দরকার!

কি হবে …এই টেনশনে থেকে থেকে? ভালো ঘুম না হওয়াতে আরো বেশী অসুস্থ হচ্ছি আমরা। যা হবার তাই তো হবে। তাই টেনশন কম করি যেন আমরা। আর একটা বিষয় হচ্ছে ,আমরা কাউকে মনের কথা বলতে পারিনা, বিশ্বাসের জায়গাটা হারিয়ে গেছে।

কিন্তু ডিপ্রেশনে যাওয়ার আগেই কথা বলো, যাকে ভরসা করা যায় এমন কাউকে বলো, কথা বলাটা খুব জরুরী। আমাদের প্রত্যেকের বন্ধুর মতো পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতা করতে হবে। আশেপাশের মানুষদেরকে সহযোগীতা করতে হবে। ভালবাসতে হবে। হাসতে হবে। আল্লাহ আমদের সহায় হন। বিপ্লবের জন্য দোয়া করি। সবাই ভালো থাকুন। আমিন।

Comments (0)
Add Comment