চীনা প্রেসিডেন্টকে সমবেদনা জানিয়ে শেখ হাসিনার চিঠি

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত চীনেইয়নিয়মিত প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দেশটির জন্য মাস্ক, ক্যাপ, হ্যান্ডগ্লোভ ও স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সহমর্মিতামূলক সহায়তা হিসেবে এসব সামগ্রী পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের হাতে ওই চিঠি ও প্রতীকি স্বাস্থ্য সামগ্রী হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সরকার প্রধানের লেখা চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের আক্রমণে স্বজন হারানো চীনা পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। চীন সরকার কর্তৃক দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। চীন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

পাশাপাশি চিঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উহানে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা সব বাংলাদেশিকে সরকারী খরচে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চীনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আরও কিছুদিন সেখানে অবস্থান করার পর দেশে ফেরার পরামর্শ দেন। ড. মোমেন বলেন, একমাত্র সিঙ্গাপুর ছাড়া কোথাও কোনো বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এছাড়া এই ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চীনা প্রজেক্ট ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না।

প্রধানমন্ত্রীর চিঠি ও সামগ্রী গ্রহণের সময় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বাংলাদেশকে ৫০০ কিট উপহার দেবে চীন। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মহানুভবতার সাধুবাদ জানাই আমরা। করোনাভাইরাস ইস্যুতে চীনকে বাংলাদেশ যে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি জানান, দু’পক্ষের কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। করোনাভাইরাসের কোনো সীমান্ত নেই। এ সময় বাংলাদেশ যে সহমর্মিতা দেখাচ্ছে তা বন্ধুত্বের পরিচয় বহন করে।

Comments (0)
Add Comment