যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের ভেতর যুদ্ধবিরতি বিক্ষোভ: গ্রেফতার ৩০০
গাজায় ইসরাইলের নির্বিচারে হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপ্রিয় ইহুদিরা। যুদ্ধবিরতির দাবিতে দেশটির পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার জনতা। হাউস অব অফিস ভবনের একটি অংশ দখল করে পার্লামেন্টের ভেতরেও ঢুকে পড়ে শত শত বিক্ষোভকারী। প্রতিবাদের স্লোগান তুলে ধরা হয় তাদের বিক্ষোভের ব্যানার, পোস্টারে এমনকি পরিধেয় কাপড়েও।
হাততালি ও গানের তালে কেনন হাউজ অফিসের মেঝেতে বসে, সিঁড়ি-ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধবিরোধী আওয়াজ তোলে। বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোটের দিনেই ফিলিস্তিনে শান্তির দাবিতে পার্লামেন্টে এ বিক্ষোভ করেন দেশটির জনগণ। প্রায় ১০,০০০ বিক্ষোভকারী ক্যাপিটল হিলের বাইরে প্রতিবাদে অংশ নেয়। ভেতরে ছিল ৫০০। বড়সড় এ বিক্ষোভ দমনে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেফতার করে ক্যাপিটল পুলিশ। এবিসি নিউজ।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে কালো টি-শার্ট পরেছিলেন। টি-শার্টে ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়, গাজাকে বাঁচতে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইহুদিদের কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী ‘কিপ্পাহ’ টুপি পরে এসেছিলেন। ফিলাডেলফিয়া থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেছিলেন ৭১ বছর বয়সি লিন্ডা হল্টজম্যান। বাইডেনের উদ্দেশে লিন্ডা বলেছেন, ‘চোখ খুলে দেখুন।
যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নিন।’ ৩২ বছর বয়সি হান্নাহ লরেন্সের বাড়ি ভারমন্টে। তিনি বলেছেন, ইসরাইল সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে সক্ষম বর্তমান বিশ্বে এমন একমাত্র ব্যক্তি হলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ কারণে অসহায় মানুষদের জীবন বাঁচানোর জন্য বাইডেনের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত। কংগ্রেসের একমাত্র বর্তমান ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সদস্য তালেব বলেন, ‘আমি আশা করি পুরো ফিলিস্তিনি জনগণ এটি দেখবে। আমি আশা করি তারা দেখবে যে, সব আমেরিকানই তাদের মরতে দেখতে চায় না। তাদের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।’ শুধু ওয়াশিংটনেই নয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রদেশেও দেখা গেছে এ বিক্ষোভ। দেশটির ইলিয়ন এবং কলোম্বিয়া শহরের রাজপথও এদিন কেঁপে ওঠে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে।