জিম্মিদের উদ্ধারই বড় চ্যালেঞ্জ: ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা

ইসরায়েলের এলিট কমান্ডো ইউনিট সায়েরেত মাতকালের সাবেক ডেপুটি চিফ ডোরন কেম্পেলে বলেছেন, জিম্মিদের উদ্ধার করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

সংবাদ সংস্থা বিবিসির নিউজডে প্রগ্রামে তিনি বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো জিম্মিরা কোথায় আছে তা বের করা। আক্রমণ চালাতে হবে সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। জিম্মিদের যেখানে রাখা হয়েছে সেখানেই ঢুকতে হবে এবং যতটা সম্ভব জীবিত উদ্ধার করা।

’ তিনি আরো যোগ করেছেন, সমস্যা হলো জিম্মিরা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের এলাকায় নয়।
হামাসের কাছে প্রচুর ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি আছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে অনুসন্ধান করছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এদিকে হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কাশেম ব্রিগেডস হুমকি দিয়েছে, গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে কোনো প্রাক-আভাস ছাড়াই জিম্মি ইসরায়েলিদের মেরে ফেলা হবে।

অনেক বছর ধরে ফিলিস্তিনের শহর গাজা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছিল ইসরায়েল। কিন্তু গত শনিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সেই সুরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটেই পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। হামাসের শত শত সশস্ত্র সদস্য ইসরায়েল আর গাজা উপত্যকার মধ্যকার সুরক্ষিত সীমানা অঞ্চল পার হয়ে ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে।

পাল্টাপাল্টি হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০ জন হয়েছে। গাজায় ৬৯০ জন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বলা হয়। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে চলে।

শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই আছে। ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র চলা যাবে।
এদিকে গাজার পর এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরেও সব ধরনের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ২৮ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই এলাকাকেও পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, লোহার গেট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে পশ্চিম তীরে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে আরো অনেক তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.