‘ভীষণভাবে মিস করছি আমার সভাপতি মিশা সওদাগরকে’

তুমুল বির্তক ছাপিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। হারালেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের সদস্য চিত্রনায়িকা নিপুণকে।

নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন অভিনেত্রী শিমু হত্যা মামলায়ও জড়ানো হয়েছিল তাকে। নির্বাচনের দিন টাকা দিয়ে ও বিধি অমাণ্য করে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

কিন্তু রাত পোহালে দেখা যায়, নিপুণকে ১৩ ভোটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেলেন জায়েদ খান। জায়েদ পেয়েছেন ১৭৬ ভোট যেখানে নিপুণের ভোটসংখ্যা ১৬৩।

জয়ের পর অভিযোগের সব তিক্ত অভিজ্ঞতাকে ভুলতে চান জায়েদ খান।

জয়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ চিত্রনায়ক বলেন, এবার নির্বাচনে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণ। তার জন্য কোনো কষ্ট লাগছে না এখন। কোনো কিছু মনে হচ্ছে না। কেননা মুগ্ধ হয়েছি সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হয়েছে।

তিনি জয়ী হলেও তার প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর হেরে গেছেন ইলিয়ান কাঞ্চনের বিপক্ষে।

সে প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, আমি ভীষণভাবে মিস করছি আমার সভাপতি মিশা সওদাগরকে। তার সঙ্গে আমি গত চার বছর কাজ করেছি। তিনি আমার অভিভাবকদের মধ্যে অন্যতম। তার সঙ্গে আমার চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে। তিনি হারায় ভীষণ মন খারাপ লাগছে। শুধু তার জন্যই নয় আমার প্যানেলে যারা হেরে গেছেন তাদের সবার জন্যই খারাপ লাগছে। কারণ তারা পাস করলে আরও ভালো কাজ করতে পারতাম। আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও আরো বিকাশ নিয়ে।

মিশা সওদাগরের সঙ্গে কাজ করতে পারছেন না বলে থেমে যাবেন না জায়েদ খান।

বললেন, গত দুই টার্মে কাজ কারেছি বলেই তৃতীয়বারের মতো আমাকে ভোট দিয়েছেন শিল্পীরা। আশা করছি তাদের সম্মান আমি রাখব। কাজ করতে গিয়ে কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চাইছি।

ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই শিল্পীদের। যাদের ভোটে আমি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছি তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আরো জয়ী যারা হয়েছেন তাদের জন্য শুভকামনা। যোগ্য যাদের মনে করছেন তাদের শিল্পীরা ভোট দিয়েছেন। সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.