৭ মাসে ১৫০০ কেজি ফল বিক্রি করেছেন শহিদুল!

শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার কড্ডার (তেতুলিয়া) বাসিন্দা। তিনি ইতোমধ্যে ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। চাষ শুরুর প্রথম বছরেই ভালো ফলন পেয়েছেন।

কয়েক বছর আগেও দেশের মানুষ জানতো ড্রাগন বিদেশি ফল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এর চাষ এতটা বেড়েছে যে, এখন এটি দেশি ফল বলেই মানুষের কাছে পরিচিত। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০২১ সালে তিনি কৃষিতে মনোনিবেশ করেন। তেতুলিয়া এলাকায় ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ১৫০০ ড্রাগন চারা রোপণ করেন । চারা লাগানোর পরের বছরই ২০২২ সালে উৎপাদনে আসে।

তিনি জানান, এবছর ১৫০০ কেজি ফল বিক্রি করেছেন। বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকার উপরে। আগামী অক্টোবর মাসে পুরোপুরি উৎপাদনের আসবে। তার বাগানে ৬ প্রজাতির ড্রাগন ফল, ২৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি আম, ৩ প্রজাতির মালটা, ২ প্রজাতির কমলা, খেজুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের চাষ করেছেন।

তার এই সাফল্যে দেখে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তেঁতুলিয়া এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিনই এই বাগানে আসি। প্রথমদিকে মনে হতো সরকারি চাকরি থেকে এসে যে বাগান করেছেন তাতে মনে হতো তিনি এত টাকা খরচ করে ক্ষতির মুখে পড়বেন। কিন্তু এখন দেখা যায়, তিনি সফল। তাই চিন্তা করছি আমি নিজেই ড্রাগন বাগান করবো।

সরেজমিনে তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের গাছে গাছে ধরেছে নানা রঙের ড্রাগন ফুল ও ফল। ইতোমধ্যেই তিনি চারা উৎপাদন করেছেন। নতুন করে আরও ২৬০০ চারা রোপণ করেছেন। ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তার এই আবাদ করতে এ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা করচ হয়েছে বলে তিনি জানান। সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যান।

তিনি জানান, ফলের এত চাহিদা যে আরও কয়েকটি বাগান হলেও ফর বিক্রিতে সমস্যা হবে না।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, আমি নিজে তার বাগান পরিদর্শন করেছি। বাগানের পরিচর্যা এবং ফল বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়। বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে খরচ কম। দেশেই নানা জাতের ড্রাগন চারা পাওয়ায় এ চাষাবাদে বেকার যুবকদের স্বাভলম্বী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ ড্রাগন চাষিদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে। দেশের বেকার যুবকদের এ চাষাবাদের উপর প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করা গেলে তাদের ভাগ্য বদলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.