সাংবাদিকতায় ফিরলেন বরিস জনসন
সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের পর আবারও পুরোনো পেশা সাংবাদিকতায় ফিরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইল তাকে নিজেদের নতুন কলামিস্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) ডানপন্থি ঘরানার সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এখন থেকে প্রতি শনিবার পত্রিকাটিতে বরিসের কলাম থাকবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেইলি মেইল বলে, আপনি বরিস জনসনের ভক্ত না-ই হতে পারেন, তবে ওয়েস্টমিনস্টারসহ (ব্রিটিশ পার্লামেন্ট) বিশ্বের মানুষের তার লেখা পড়ার প্রয়োজন রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কলামে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নানান পদক্ষেপ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পারেন বরিস। আবার লাভজনক এ চাকরিতে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে একটি গাড়িও পাচ্ছেন তিনি।
গত ৯ জুন বিবৃতি দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন। এর আগে পার্টিগেইট কেলেঙ্কারির কারণে গত বছর প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হয়েছিল তাকে।
নানান ‘কেলেঙ্কারির’ জনক জনসনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। টাইমসে কাজ করার সময় একজনের নামে মনগড়া বিবৃতি দেওয়ার কারণে পত্রিকাটি তাকে বহিষ্কার করেছিল। ডেইলি টেলিগ্রাফের ব্রাসেলস সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
একসময় রাজনীতি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চালিয়েছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য ও স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছিলেন জনসন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে নিয়মিত কলামও লিখতেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে টেলিগ্রাফেরই এক কলামে তিনি বলেছিলেন, বোরখা পরা মুসলিম নারীদের তার কাছে ডাকবাক্স বা ব্যাংক ডাকাতদের মতো লাগে। এ মন্তব্যের জন্য তাকে ইসলাম বিরোধী বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স