শঙ্কার কালো মেঘ কাটল: ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়া নিয়ে দেখা দেওয়া শঙ্কার কালো মেঘ কেটেছে। চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইসরায়েলের ওফার কারগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বন্দি ফিলিস্তিনিদের।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরে কড়া সেনা পাহাড়ায় ৬২০ ফিলিস্তিনিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছে দেওয়া হয়। একইদিন রেড ক্রসের কাছে চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

মরদেহ গ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। মরদেহগুলো শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে বলে আইডিএফ জানিয়েছে।

এর আগে হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের ওপর ‘নিষ্ঠুর আচরণ’ করেছে এমন অভিযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি স্থগিত করে ইসরায়েল। প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলে, এটি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন।

পরে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর উদ্যোগে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সর্বশেষ অচলাবস্থা কেটেছে বলে জানায় ইসরায়েল ও হামাস কর্মকর্তারা।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রামাল্লায় মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে শনিবার (১ মার্চ) শেষ হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সময়সীমা। পরবর্তী ধাপের আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডেকেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াতে ও উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের নজিরবিহীন অবহেলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, উপত্যকাটিতে নেতানিয়াহু বাহিনীর সামরিক অভিযান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অন্যদিকে পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থী শিবির থেকে সবাইকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু বাহিনীর এমন ঘোষণার পর আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা জানান, শরণার্থী শিবিরের বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে রাস্তা বানানোর পরিকল্পনা আছে ইসরায়েল।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.