রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলছে ১ আগস্ট থেকে

দেশে আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কল-কারখানা খোলা থাকবে। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট (রোববার) সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

এর আগে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নেতৃত্বে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত দেশের রপ্তানিখাতসহ সব উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার দাবি জানায়।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে দেশের সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এতে রপ্তানিখাতের ৮০ শতাংশ অংশীদার তৈরি পোশাক রপ্তানি বাধার মুখে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকেরা। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এবং পোশাক খাতের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএসহ রপ্তানিমুখী সংগঠনগুলো কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায়।

এ অবস্থায় আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কল-কারখানা খুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট ও পাটজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, বাই সাইকেল, কেমিক্যাল পণ্য, ওষুধ, প্রকৌশলী যন্ত্রাংশ, কাগজ ও কাগজ পণ্য, হ্যান্ডিক্রাফটস, রাবার ও কার্পেটসহ যেসব খাতের পণ্য রপ্তানি হয় সেগুলোর কারখানা খোলা থাকবে। এমনকি রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক্সেসরিজ প্রস্তুতকারক কারখানাও খোলা রাখা যাবে।

কঠোর লকডাউন চালুর আগেই খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, চামড়া প্রক্রিয়াজাত, ওষুধ ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনকারী কারখানা বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে রাখার ঘোষণা আসে। তবে এই তিন খাতের বাইরে দেশীয় বাজারের জন্য পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে ইস্পাত শিল্পের মোটরসাইকেল উৎপাদন কারখানা, রোলিং মিল, সিমেন্ট কারখানা, ঢেউটিন কারখানা বন্ধ থাকবে। তাছাড়া দেশের বাজারের জন্য পণ্য প্রস্তুতকারক ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, দেশি ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক কারখানাসহ বিভিন্ন খাতের কারখানা বিধি-নিষেধের আওতায় থাকবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.